দারিদ্রতা খুবই নিষ্ঠুর - bangla story

ads

test banner Web hosting

সর্বশেষ পোস্টকৃত গল্প

Post Top Ad

test banner

Post Top Ad

infaj banner

রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭

দারিদ্রতা খুবই নিষ্ঠুর






রিফাত অনেক নামি, দামি স্কুল থেকে পড়ালেখা করেছে।
তার পারিবার অবস্থা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও তাকে অনেক দামি স্কুলে পড়িয়েছেন তার বাবা। সে এস এস সি পরিক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে। রিফাতের ইচ্ছা অনেক বড় কোনো সরকারি অফিসার হওয়া।
সে বর্তমানে ইন্টারমিডিয়েট পড়ছেন। তার বাবা একা একা খরচ যোগাতে পারছে না। অনেক সময় কলেজের বেতন বাকি পরে যায়। মাঝে মাঝে প্রিন্সিপ্যাল স্যার এর বকা সুন্তে হয় রিফাতকে। তার পরেও রিফাত কিছু বলে না চুপ চাপ থাকে, স্যারকে বোঝায় স্যার ও সব কিছু বোঝে কিন্তু নিয়ম শৃঙ্খলা বলতে কিছু কথা আছে সেই গুলোর জন্য একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

রিফাতের ফ্রমফ্লাপ হচ্ছে কলেজে।
৫ হাজার টাকা ফ্রমফ্লাপ ফি। কিন্তু রিফাতের কাছে কিছুই নেই। রিফাত যে টাকা প্রাইভেট পড়িয়ে পেয়েছিলো সেটা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন রিফাত কি করবে বুঝতে পারছে না। রিফাত বাড়িতে কল করে কিন্তু আশানুরূপ কোন ফল পায় না। সে হতাশ হয় চিন্তা করে কি করে ফ্রমফ্লাপ করবে। এ দিকে সময় ও হাতে বেশি নেই। কোনো রাস্তাই খোলা ছিলো না। একদম শেষের দিকে অর্থাৎ ফ্রমফ্লাপের শেষ তারিখে রিফাত টাকা টা নিয়ে কলেজে পৌঁছায়। স্যারের কাছে টাকা টা দিয়ার পরেও স্যার তাকে কিছু কথা শোনায়, স্যার বলে, যার বাবার টাকা আছে তারাই কেবল লেখা পড়া করতে পারবে, যার টাকা নেই তার পড়াও নেই, তোমায় তো আগেও বলেছি কিন্তু তুমি শোনো নাই, এতো কষ্ট করে পড়ে কি করবে? সবাই যদি লেখা পড়া করে তাহলে কাজ কর্ম কে করবে?
রিফাত মুখ বুজে সব কিছু মাথা পেতে মেনে নিয়ে চলে আসে।
মেসে গিয়ে খুব কান্না করে। কিন্তু তার কান্নার কোনো মানেই ছিলো না।
এর পর পরিক্ষা দেয়। পরিক্ষায় সে কলেজ সেরা হয়েছে। কলেজ থেকে তাকে সংর্বাধনা দেয়া হয়। তাকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করা হলে সে যায় কিছু কথা বলে। সেই কথা গুলো পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেয় সেই স্যার কে।যে স্যার তাকে অই সমস্ত কথা বলেছিলো।

তার পারিবারিক অবস্থা আরো খারাপ, তার বাবা অসুস্থ কোনো কাজই করতে পারছেন না। তাকে বাধ্য হয়ে চাকুরির জন্য দৌড়া দৌড়ি করতে হচ্ছে, অনেক জায়গায় চাকুরির জন্য গেছে সব পরিক্ষায় সম্পন্না হলেও তাকে নেয়া হয় না।
কারণ তার কাছে ঘুষ স্বরুপ টাকা চেয়ে বসে। কিন্তু তার টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই তাই তার চাকুরি হচ্ছে না।

তখন সেই স্যার এর কথা মনে পরল,
স্যার যে বলেছিলেন যার বাবার টাকা নেই তার লেখা পড়াও নেই, এতো লেখা পড়া দিয়ে কি হবে? হ্যাঁ ঠিক তাই এতো লেখা পড়া দিয়ে কি হবে? আজ অনেক ভালো রেজাল্ট করেও চাকুরি নেই। পড়া লেখা লাগবে না টাকা দিলেই চাকুরি। রিফাত আজ খুব অসহায়, তার পাশে দারানো মত কেউ নেই।
সে খুব অবাক হয় বাংলাদেশের এই অবস্থা দেখে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করার পরেও এই সমস্ত লোক জনের জন্য বাংলাদেশ পরাধিন।
ঘুষ দিলে চাকুরি হয়, ঘুষ না দিলে রাস্তা মাপুন। হায় রে সোনার বাংলা আজ তোমার এই অবস্থা।
রিফাত অনেক ঘোরাঘুরি করার পড় একটা অসামাজিক কাজে জরীত হয়। তার টাকার খুব জরুরি দরকার ছিলো এবং দ্রুত সামনে অগ্রসর হওয়ার জন্য সে এই রাস্তা অবলম্বন করেন।

মোড়ালঃ রিফাতের মত ছেলেরা নষ্ট হওয়ার একমাত্র কারণ কিছু অসাধু লোক জনের জন্য। যারা টাকাকে ভালোবাসেন শিক্ষাকে নয়, যারা ভালোবাসেন টাকার হাঁসি কে, দুঃখ্যের কান্না কে নয়।
আসুন সবাই ঘুষ মুক্ত সমাজ গড়ি, সমাজ কে সাফল্য দিতে চেষ্টা করি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

HELLO! VISITOR

Post Top Ad

test banner