খুব ইচ্ছে করে, আগের মতো তোর কথায়
প্রায়দিনই একটা করে গান গাইতে, আর তোর মুখে খুব ভালো হয়েছে শুনতে!!
-----------কিন্তু এখন তুই নেই ! আর কেও তোর মতো
বলেও না,--------
তাই তো আর আগের মত গাইতেও পারি না ।নিজের ও সখ জাগেনা !
----------জানিস ? এখন না গল্প লিখতে শুরু করেছি !
জানিনা কিভাবে লিখি ! তবে এটুকু জানি ,
আমার প্রতিটা গল্পে তুই মিশে থাকিস।
------যখন কোন গল্প লিখতে বসি, তখন হাত কাপে !চোখের
পানি দিয়ে ডায়েরীর পাতাটি ভিজেও যায় কখনো কখোনো ! --------------
-------তবে ইদানিং চোখের পানিগুলোও
বেইমানী করতে শুরু করছে ! ঠিক তোর মত ,
বিনা অনুমতিতে চোখ থেকে অঝর ধারায়
ঝরতে থাকে।
-------তোর মুখ থেকে একটিবার * শয়তান *
ডাকটি শোনার জন্য কতই না পাগলামী
করেছি। ঐ মিষ্টিমধু মাখা ডাকটি নাশুনলে যে আমার ঘুমই আসত না।এখনও ভাবতে থাকি,,, তুই এতো সুন্দর
করে কিভাবে শয়তান বলে আমায় ডাকতি ---------
--------জানিস ? আজও আমি ঠিকমতো ঘুমাতে
পারি না।আর কেনই বা পারব, তুই বল ? আগেতো প্রতিদিন তোর সাথে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যেতাম। সে অভ্যাসটা রয়েই গেছে ! অনেক চেষ্টায়ও পাল্টাতে পারিনি!--------- চোখের নিচে কালো কালো দাগ
হয়ে গেছে হয়ত রাত জাগতে জাগতে ! ওহ Sorry আমিতো এতক্ষন তুই করে বলছিলাম ! এটাতো তোমার একদমি পছন্দ না । ----------
-------- মনে আছে তুমি আমাকে বাচাল বলতে কখনো কখনো ?
কিন্তু আমি বেশি বাচাল ছিলাম না।
সামান্য বাচাল ছিলাম। সব ব্যাপার নিয়ে মজার মজার কথা বলতাম। যদিও তোমার খুব ভালো
লাগত বাচাল হওয়াতে!!!!---------
----------
--------আর এখন যদি তুমি আমাকে দেখতে,
চিনতেই পারবে না। আমি আর সেই বাচাল
নেই।
জানো, আমি না অনেকটা শুকিয়ে গেছি। বন্ধুরা মাঝে মাঝে ফাজলামি
করে ভাবিষ্ট বলে ডাকে। ভাবতে পারছো
তুমি, তোমার সেই বাচাল টা কতোটা গম্ভির হয়ে গেছে?
------------
মনে আছে, তুমি আমার সাথে অভিমান
করে তিন দিন কথা বলেছিলেনা -------
আর আমি, সেই ঢাকা থেকে পাগলের
মতো ছুটে গিয়েছিলাম তোমার কাছে !!
---------অবশ্য ওই দিনই তোমার সাথে আমার
শেষ দেখা হয়েছিল। ওই সেই মজগুনি পার্কে,
-----তুমি বলেছিলে --- এত পাগল কেন তুমি ? কি কাপড় পড়ে এসেছো হ্যা ? চুলে এত ময়লা কেন ? এর পরে যদি কখনো কথা না বলি তাহলে অন্তত এক মাস অপেক্ষা করবে !!
-------আসলে, আমি এতোটাই পাগল হয়ে
গিয়েছিলাম যে,
কি কাপড় পরে যাব সেটাই খেয়াল করতে পারিনি সামনে যেটা পেয়েছি সেটাই পড়ে চলে গিয়েছিলাম। তবে অবশ্য যে শার্ট পড়ে গিয়েছিলাম সেটা তোমারি কিনে দেয়া ছিল!!!!
--------- ও হ্যা.... তুমি ওইদিন বানিজ্য মেলা থেকে একটা শর্ট পাঞ্জাবি কিনে দেয়ার জন্য জোরাজুরি করেছিলে খুব, কিন্তু কিনিনি । তাই আমাকে পাচশো টাকা দিয়েছিলে পরে কিনে নেয়ার জন্য।। নাহলে তুমি রাগ করবে বলেছিলে। তুমিতো ওই দিন আমার রক্ত গ্রুপও পরীক্ষা করিয়েছিলে (ও পজেটিভ) । এর আগে আমি গ্রুপ জানতামই না।
-----------আজ তুমি নেই, কিন্তু তোমার দেওয়া সেই
শার্টটি এখনও আছে। তোমার পরীক্ষা করানো রক্ত শরীরে নিয়েই আমি আজো ঘুরে বেড়াচ্ছি অবলিলায়।তুমি জানলে অবাক
হবে যে, আমি শার্টটি আজও পরিষ্কার
করি নি।।-----------------
কেন জানো.......???
যদি তোমার স্পর্শটুকু শার্টের থেকে মুছে
যায়???-------------
----------- শার্টটি দিয়ে নাকি গন্ধ বের হয়.....
কথাটি আমার রুমমেট বলে ! অনেকবার ও নিজেও
পরিষ্কার করতে গিয়েছে কিন্তু আমি
দেয় নি। শার্টের থেকে নিঃসৃত গন্ধ,
আমাকে তোমার কথা মনে করিয়ে দেয় ! ---------------
আচ্ছা ওর ঠিক একমাস পরে যখন আবার আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলে,তার ঠিক সাত দিন পরে আমি আবার তোমার কাছে ছুটে গিয়েছিলাম ! কিন্তু তুমি আমার সাথে দেখা করনি! কি করে পারলে এত পাষান হতে?---------অবশ্য তোমার এক ক্লাসমেট অনেকক্ষন আমার সাথে ছিল । হয়ত আমার প্রতি ওরো দয়া হয়েছিল কিন্তু তোমার হয়নি।। একটুও হয়নি !
জানো তোমার ক্লাসমেট চলে যাওয়ার পরে অপরিচিত কয়েকটা ছেলে এসেছিলো , আমার পরিচয় জানতে চাইলো ! আর তারপরে ওরা আমার গায়েও হাত দিয়েছিল! তখন আমি ভেবে ছিলাম ওরা হয়ত তোমাকে আমার কাছে খারাপ বানাতে চাইছে !--------------
------------কিন্তু এখন বুজতে পারছি ওদের কে তুমিই পাঠিয়েছিলে কারন ওদের মধ্যের একজন এখন তোমার জীবন সংগি!-------------------
--------জানো তোমার প্রিয় সেই ডি,ছি পার্কে নদীর পাশের চার নম্বর নারিকেল গাছটার নিচে এ বছর পহেলা বৈশাখের দিন কেউ বসতেই পারেনি ! কি করে বসবে বলো? সারাটা দিনই তো সেখানে আমি বসা ছিলাম -------
কারনটি হয়তো বুঝতে পেরেছো...... আমরা এক হলেই তো ঐ গাছটির নিচে বসে বেশির ভাগ সময় পার করতাম--------------------------!
-------- আজ পার্ক আছে,নদী আছে, সেই গাছটাও আছে------------শুধু তুমি নেই।
আসলে তুমি ঠিকই আছো ! শুধু আমার জীবনে নেই! কেন নেই তুমি ? সব দোষই কি আমার ছিল ??? যদি থাকাতোও তাহলে ক্ষমা করতে পারতেনা ? তুমিই তো আমাকে বারবার বলতে ক্ষমা মহৎগুন !!!--------------
-----------+++++++------------------------
জানো, আমি যেসব জায়গা, কিংবা
রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তোমার সাথে
ফোনে কথা বলতে বলতে যেতাম, আর হাসতাম ?
---------এখন যদি সেইসব জায়গায় অথবা রাস্তা দিয়ে যাই তাহলে আর ফোনে কথা বলিনা ! আর হাসিও না ! শুধু কেন জানি চোখ দুটো ভিজে যায় ?--------------
----------------------
জানো,... আজ আমি হাসতে ভুলে গেছি----???
যদিও সবার সামনে আমাকে হাসতেই হয় !! তবে অভিনয় করে ।। এতে কিন্তু আমার একটুও কষ্ট হয়না। তুমিতো জানোই ? চলে যাবার আগে বেশ কয়েকবারতো আমাকে বলেছোও আমি নাকি গান গাওয়ার মত অভিনয় টাও খুব ভালোই পারি !!!!
----------++------------------------
জানো ? যেদিন তোমার নতুন সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলাম, সেদিন নিজের কানকে
বিশ্বাস করতে পারি নি। ----------- আর
যখন তুমি নিজেই খবরটির সত্যতা জানিয়ে ছিলে ? ------------- তখন আমি ঠিক ছোট বাচ্চাদের মত শব্দ করে কেদেছিলাম !!--------------------------
তোমার কছে ছুটে যেতে চেয়েছিলাম একটিবারের জন্য, হয়তো
আমি গেলে তুমি আমার পাগলামি দেখে
আর থাকতে পারবেনা এই আশায় !
-------------------------
কিন্তু আমাকে সবাই রুমের মাঝে
তালাবদ্ধ করে রাখে। অনেক অনুরোধ
করেছিলাম , আমাকে একটিবারের জন্য
যেতে দাও। কেও যেতে দেয় নি। অনেক অনুরোধের পরে শুধু মোবাইল ফোনটা দিয়েছিল। তোমাকে অনেক বার কল দিয়েছি কিন্তু তুমি রিসিভ করনি !---------------------
.
ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা
কেটেফেলেছিলাম, দেয়ালের সাথে
আঘাত করে মাথা রক্তাক্ত করেছিলাম।
তবুও যেতে দেয় নি। সবার একটাই ভয় যদি আমি আর ফিরে না আসি।----------------------
.------------------------------------
..-------------------------
-----------------জান, আজ কেন যেন তোমার কথা অনেক
বেশি মনে পড়ছে। তাই তো নারিকেল গাছটির
নিচে বসে মোবাইলের Ridmik কি-বোর্ড
দিয়ে স্মৃতিগুলো টাইপ করছি। এতে কষ্ট অনেকটা কমে।
----------------------- পুনরায় চোখের পানিগুলো
বেইমানী করা শুরু করছে। মোবাইলের ডিসপ্লের উপর
ফোটায় ফোটায় চোখের পানি পড়ছে। আর
লেখাগুলিকে অস্পষ্ট করে দিচ্ছে।
.------------------------------------+++++
জানো ----- বন্ধুরা, আত্মীয়-স্বজন প্রায়
সবাই বলে,
*
★★এক মেয়ের চিন্তায় জিবনটাকে কেন
এভাবে নষ্ট করছিস, একটু ফ্যামিলীর কথা ভাবতে থাক। এতো অল্প
বয়সে এভাবে ভেঙ্গে পড়িস না। দুইটা
বছর তো নষ্ট করেছিস জিবন থেকে এক
মেয়ের কথা ভেবে । এখনো তোর পুরো জীবন পরে আছে।
------------দেখবি ঠিকই কেও একজন তোর জিবনে
আসবে, তোর সবকিছু মেনে নিয়ে তোকে
নতুনভাবে বাচতে শেখাবে। তুই অন্ততো
পরিবারের সবার দিকে চেয়ে দেখ !! ★★--------------
-------------------------
আমি সবার কথা শুনি আর মনে মনে মেকি
হাসি হাসতে থাকি। আর ভাবতে থাকি ! কে আসবে ? আর যদি আসেও তাকে তো আর আমি "ইউষা" র আম্মুর জায়গাটা দিতে পারব না । ওর মত ভালবাসতে পারব না !!!!!!!!!!!
.----------------------শোন তুমি কিন্তু ওদের কথায় একটুও ভয় পাবেনা । আমি ঠিক থাকলেইতো সব ঠিক !!তাইনা বল??
-----------------তুমি দেখে নিও আমি তোমার বলা সেই প্রথম দিনের "" তুমি আমাকে কোন দিন ছেড়ে যাবা নাতো"" কথাটার অমুল্যায়ন করি না।। আমি কিন্তু বেইমান না

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
HELLO! VISITOR