এইডস - bangla story

ads

test banner Web hosting

সর্বশেষ পোস্টকৃত গল্প

Post Top Ad

test banner

Post Top Ad

infaj banner

রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭

এইডস





সাইফ নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে ৷ স্বাভাবিক ভাবেই সে সাধারন জীবন যাপন করে ৷ তবে সে তার বাবার অনেক আদরের সন্তান ৷স্বাভাবিক কাজ গুলো সে স্বাভাবিক ভাবেই করে ৷ সে আর দশটা-পাঁচটা ছেলের মতই চা স্টলে আড্ডা মারতে ভালোবাসে ৷ বন্ধুদের সাথে কেরাম , ক্রিকেট আর ফুটবল খেলতেও ভালবাসে ৷ তবে তার কোন বাজে অভ্যাস নেই ৷ যেমনঃ তাস খেলা , সিগারেট খাওয়া ইত্যাদি ৷ সে নামাজ-কালাম ও প্রায় নিয়মিত আদায় করে ৷ পড়া-লিখার পাশা-পাশি সে একটা চাকরির জন্য চেষ্টা করছে ৷ দিন গুলো তার ভালই যাচ্ছিল ৷ এমনই কোন এক সন্ধ্যায় সে মাঠ থেকে ক্রিকেট খেলে বাড়ি ফেরার সময় তার পাড়ার সেলুনটা খোলা দেখে চুল কাটানোর জন্য ঢুকলো ৷ আজ কাটিয়ে নেব , কাল কাটিয়ে নেব করতে করতে চুল গুলো অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। তাছারা আগামিকাল তার একটা চাকরির পরীক্ষা আছে ৷ তাই চুল ছাঁটানোটা দরকারি ৷ নাপিত যখন তার চিপ কাটছিল তখন হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় ৷ ফলে তার চিপের কাছে ক্ষুরের চাপে সামান্য কেটে যায় ৷ একটু রাগ হলেও বিষয়টা সে তেমন গুরুত্ব দেয় না ৷ যাই হোক কিছু দিন পর তার একটা মোটামুটি ভাল চাকরি হয়ে যায় ৷
৮ বছর পর ___________
এখন আর সাইফ একা নয় ৷পরীর মত সুন্দর আর অনেক ভাল একজন জীবন সঙ্গী পেয়েছে ৷ মা-বাবা আর বউ নিয়ে দিন গুলো তার সপ্নের মত চলে যায় ৷ কিছু দিনের ভিতরই সে একটা সুখবর পায় ৷ সুখবরটা কি বুঝতে পারছেন? আসলে বিয়ের পর আমাদের পুরুষদের মনে যে সুখবরটা একটা অসাধারন বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি করে এই সুখবর হচ্ছে সেই সুখবর ৷ অর্থাৎ সে বাবা হবার সুখবর পায় ৷ যথারীতি সে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় ৷ তার পরীর বিষেশ সময়ে যাতে কোন সমস্যা না হয় তাই সঠিক সময় জানতে এবং পরামর্শ নিতে সে পরের দিন তার পরীকে নিয়ে ডাক্টারের কাছে যায় ৷ ডাক্টার (মেয়ে ডাক্টার কিন্তু ) সাইফের পরীকে আলাদা একটা রুমে নিয়ে তার পরীর কি সব যেন চেক-আপ করে ৷ তারপর সাইফের পরীর শরীর থেকে একটা মোটা সিরিঞ্জ দিয়ে অনেক টুকু রক্ত বাহির করে নেয় ৷সেটা দেখে সাইফের নিজের মুখই বিকৃত হয়ে যায় , যেন রক্তটা তার শরীর থেকে নেয়া হচ্ছে , ব্যথাটা সে পাচ্ছে ৷ যাই হোক ডাক্টার তাদেরকে সাত দিন পর আবার দেখা করতে বলে৷ সাতদিন পর তারা আবার ডাক্টারের কাছে যায় ৷ ডাক্টার কোন রিপোর্ট না দিয়ে এবার সাইফের কাছ থেকেও প্রায় সম পরিমান রক্ত নিল এবং আবার সাত দিন পর আসতে বলল ৷
৭ দিন পর
তারা দু'জন ডাক্তারের সামনে বসে আছে ৷ ডাক্টার কে অনেক চিন্তিত দেখাচ্ছে ৷
---- আপা আমাদের রিপোর্ট এর খবর কি ৷ জিজ্ঞাসা করল সাইফ ৷
---- জ্বি আপনাদের রিপোর্ট রেডি ৷ কিন্তু কথাটা যে কি ভাবে বলি ৷ আচ্ছা আপনি কি কখনো বিদেশে ছিলেন কিংবা আপনাদের দুজনের কারো বড় কোন দুর্ঘটনার জন্য কি কখনো রক্ত নেবার প্রয়জোন হয়ে ছিল ? চিন্তিত ভাবে জিজ্ঞাসা করল ডাক্টার ৷
---- না তো ৷
---- ভালকরে চিন্তা করে বলুন ৷
---- জ্বি আমার ভাল করেই মনে আছে ৷ বড় কোন সমস্যা নাকি !
---- দেখুন আপনারা নিজেদের মনটাকে শক্ত করুন ৷ এতে আপনাদের সমস্যা হলেও , আমাদের নিয়ম কানুন মেনে চললে আশা করা যায় আপনারদের বেবি সুস্থই থাকবে ৷
---- কিছু বুঝতে পারছি না ৷ কি হয়েছে বলুন তো ৷
---- আসলে কথাটা যে কিভাবে বলি ! আসলে হয়েছে কি আমরা যেটা সন্ধেহ করে ছিলাম সেটাই ঠিক ৷ কোন ভুল হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য অনেক বার পরীক্ষাও করা হয়েছে ৷ আসলে , আসলে..... আপনারা স্বামী স্ত্রী দুজনই HIV positive.
সাইফ প্রথমে ব্যপারটা বুঝে উঠতে পারল না ৷ কিন্তু বুঝতে পারা মাত্রই তার মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পরল যেন ৷
---- HIV positive মানে !!!!!!! AIDS ? জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চাইল ডাক্টারের কাছে ৷
---- ডাক্টার কিছু না বলে শুধু মাথাটা উপর নিচে দোলাল ৷
ডাক্টারের অনেক পরামর্শ শোনার পর তারা বাড়ি ফিরে আসল ৷ বাড়িতে আসার পর থেকেই সাইফের স্ত্রী সাইফের সাথে কথা বন্ধ করে দিল ৷ তার ধারনা সাইফ কখনো চুপি-চুপি খারাপ জাগায় যাওয়ার জন্যই হয়ত এই অসুখটা হয়েছে ৷ সাইফ নিজেও খুজে পেল না অসুখটা কোথায় থেকে তার শরীরে বাসা বেঁধে ছিল ৷ সে তো কখন কোন খারাপ জাগায় যায়নি ৷কিন্তু তার স্ত্রী তাকে কিছুতেই বিশ্বাস করল না ৷ কিন্তু তারা পরও তাদের কেউই কথাটা কাওকে জানাল না ৷ কিন্তু কিছু কথা থাকে যা বাতাসের আগে ছড়ায় ৷ এ ক্ষেত্রেও তাই হল ৷ পাড়ার সবাই যেন কোন যাদু মন্ত্রের বলে কথাটা জেনে গেল ৷ এবং তারা সবাই সাইফ ও সাইফের স্ত্রীর সাথে কথা বন্ধ করে দিল ৷ এমন কি সাইফের পরিবারও তাদের কে পৃথক করে দিল ৷ ডাক্টারের বোঝানোর ফলে সাইফের স্ত্রী কিছুটা বুঝল ৷ অবস্থা এতই খারাপ হয়ে গেল যে কোন উপায় না দেখে সাইফ তার স্ত্রী কে নিয়ে শহরে চলে গেল ৷কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি চলায় তাদের বাবুটা একটা অন্ধাকর জীবনের হাত থেকে বেচে যায় ৷সাইফ আজও জানে না কোথায় থেকে এই ভয়ংকর অসুখটা তার শরীরে বাসা বেধে ছিল ৷
হ্যাঁ এবার একটু ৮ বছর পিছনে তাকানো যাক ৷ যদি বিষয়টা ধরতে পারেন তো ঠিক ধরেছেন ৷ সেদিনের সেই নাপিত ঘর থেকেই সাইফের শরীরে AIDS নামক ভয়ংকর রোগটি বাসা বেঁধে ছিল ৷কারন ঐ ক্ষুরের ব্লেডে আরো একজন AIDS রগীর রক্ত ভরা ছিল ৷
তাই চুল কাটানোর সময় লক্ষ্য রাখুন নাপিত যেন সব সময় নতুন ব্লেড দিয়ে চিপ কেটে দেয় ৷ সেপ করার সময় ও তাই ৷ দরকার হলে ২ টা টাকা বেশি দিন ৷ এ ছাড়াও রক্ত লেন-দেন , ইনজেকশন নেয়া , নখ কাটার ব্লেড ব্যবহার ইত্যাদি কাজে সতর্কতা অবলম্বন করা



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

HELLO! VISITOR

Post Top Ad

test banner